তোমাকেই দেখি আমি,

নিত্য দেখি, শনি প্রত্যহের বিকাশে খেলায় দেখায় শেখায় একাকার তোমার বিভোল নৃত্য, গানের চিৎকার, কান্নার বৈশাখী

আর আশ্বিনের হাসি, কাকলি কথার ঝর্ণা ।

প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আবিষ্কার নূতন তোমার,

প্রতিদিন বিশ্বজয় খেলা বা সক্রিয় জ্ঞানে, হে বালকবীর,

দূর থেকে গুনি তোমার আমার ভেদ, স্মৃতির সায,জ্যে ভুলি, চতুর প্রৌঢ়ত্ব আর চপল প্রজ্ঞার মধ্যে

দস্তর বছর—

যেন কাল মহানদী সাঁতরায় উদ্ভ্রান্ত অস্থির-

কিংবা যেন বনের কিনারে কাঠের কাটায়

জ্বালানির তক্তা সব, আমরা, প্রৌঢ়েরা,

বাল্যের প্রান্তরপারে যারা,

আর তুমি তুমি বাছা সরস সতেজ কচি শ্রাবণের সদ্য বট শাল বা পিয়াল।

তুমি ম,ক্ত, প্রাণময়, নিঃসংশয়, কর্তৃত্বের অধিকার শধ্যেই খেলায়, তোমার ইন্দ্রিয় আর মানস নির্দ্বন্দ্ব

বাধাবন্ধহারা তোমার বিচার আর কল্পনার

স্বচ্ছন্দ বিহার এ হাত ও হাতে যেন

তোমার বাস্তব সারা বিশ্ব, চোখ কান ঘ্রাণে এক

চর্বচোষে ধ্যানধারণায়, সচল কর্মঠ বিশ্ব।

তাই-সম্ভবে ও অসম্ভবে নামে

তোমার সমান পদক্ষেপ

ব্যক্তি আর সমাজের দক্ষিণে ও বামে

তোমার অভ্রান্ত ছন্দ

দুহাতে ও আশেপাশে ছড়ানো খেলেনা

আর বর্ণমালা ধারাপাত

তুমিই কি কালের রাখাল

মহাস্থানে বিশ্বের প্রান্তরে

মানুষের পায়ে পায়ে পথের ধারের বটের ছায়ায়?

আমরাও এপার ওপার সেতু বাঁধি, বাঁশি শুনি স্মৃতি দিয়ে, আমাদের মানবিক একাত্মবোধের দ্বন্দ্বময় রোমান্ধ স্মৃতিতে বাঁশি শুনি সাম্রাজ্যের দেখি তুমি নিরাসক্ত আকাঙ্ক্ষায়

মেলাও ত্রিকাল প্রত্যক্ষের একটি কলিতে

সঞ্চয়ী কারবারে নয়, ঐতিহ্যের নিত্যনব সাক্ষাৎ নির্মাণে।

তোমার অতীত আর ভবিষ্যৎ বর্তমানে অবিচ্ছিন্ন

অথচ মুহূর্তে প্রতি মহতেই অতিক্রান্ত

কখনো জোয়ারে আর কখনো বা বন্যাবেগে

আপন বিকাশে আর মহামাহ, বিশ্বপরিচয়ে নৈর্ব্যক্তিক খেলার বিজ্ঞানে কল্পনায়

তোমার অখণ্ড সত্তা চঞ্চল সংহত ।

শোনো শিশু, শোনো

মিলাক প্রসাদ তার অসত্যে ভঙ্গর স্থাবরের এই পাড়ে

–না, না, তুমি দূরে থাকো, আমাদের ক্লান্ত কাল অতিক্রান্ত করে যাও, আমাদের পিছে রেখে

চলে যাও পাহাড়ের পরপারে

ঐ সচ্ছল সংহত দেশে যেখানে জ্বালানি নয় যেখানে পিয়াল

You Might Also Like

03 Comments

Leave A Comment

Don’t worry ! Your email address will not be published. Required fields are marked (*).

Get Newsletter

Advertisement

Voting Poll (Checkbox)

Voting Poll (Radio)

Readers Opinion