বাংলাদেশ নদীমাতৃক বলে পরিচিত, অসংখ্য নদ নদী পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গকে জালের যত ঘিরে ররেছে। মায়ের স্নেহধারার মত এই অসংখ্য নদ নদীর অপার করুণাধারা দুই বঙ্গকেই বহিরঙ্গ সৌষ্ঠবে এবং আত্মার ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। ধরিত্রী দেবী অকৃপণ হস্তে বাংলা দেশকে তার প্রাকৃতিক সম্পন্ন উজাড় করে ঢেলে দিয়েছেন। তাইত বলা হয় সুজলা-সফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ। বাংলার নদ নদীর সঙ্গে বাংলাদেশ ও জাতির অন্তরঙ্গ সংযোগযুক্ত হয়েছে। বাংলার সমাজ রাষ্ট্র এমনকি অর্থনৈতিক জীবনে এই নদ নদী এনেছে মেরুদণ্ডের বলিষ্ঠতা। বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য ঐতিহ্য কৃষ্টি শিল্পকলা এমন কি বিজ্ঞান সাধনায়ও নদীর দান অপরিসীম। বাংলার নদী বাংলার কবিকে জুগিয়েছে কল্পনা, সমৃদ্ধ করেছে বাংলার কাব্য সাহিত্যিকে। বাংলার জনজীবনের সুখ-দুঃখের অংশ নিয়ে এই নদ নদী পাশাপাশি দোসর হয়ে বয়ে চলেছে চিরকাল।

নদীর জন্ম সাধারণত পর্বত থেকে, পরিণতিতে তার মিলন হল সমুদ্রে গিয়ে। বাংলার উত্তরে পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বত হিমালয়, চির তুষারাবৃত, গ্রীষ্মের দাবদাহে বিগলিত জলধারা অসংখ্য নদীরূপে নেমে এসেছে বাংলার বুকে। বাংলার পশ্চিমে ছোট নাগপুরের পার্বত্য মালভূমি। অসংখ্য ছোট বড় নযদ-নদী এখান থেকে উৎসারিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তাপিরধীতে গিয়ে মিশেছে।

বাংলার প্রধান নদী গঙ্গা ভগীরথী মালদহ জেলার দক্ষিণ পশ্চিম কোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে কিছু দূর অগ্রসর হয়ে দুই শাখায় বিভক্ত হয়েছে। প্রধান শাখা পূর্ববঙ্গে পদ্মা নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। জলঙ্গী, খড়ি, মাথাভাঙ্গা, চূনী প্রভৃতি উপনদীগুলো ভগীরথীর পূর্ব দিক অজর, ময়ূরাক্ষী, দামোদর, রূপনারায়ণ প্রভৃতি উপনদীগুলি ভগীরথীর পূর্ব দিক থেকে মূল নদীতে পড়েছে। এরা যেন দুদল শিশু চপলতায় মুখর হয়ে পাল্লা দিয়ে, বন্ধুর মালভূমির উপলখণ্ডের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে, কে আগে ভগীরথীকে স্পর্শ করতে পারে। এই অপরিণতির চাঞ্চল্য অজরের চিত্রকরে ফটে উঠেছে।

“এতকাল এই অজর নদী

You Might Also Like

03 Comments

Leave A Comment

Don’t worry ! Your email address will not be published. Required fields are marked (*).

Get Newsletter

Advertisement

Voting Poll (Checkbox)

Voting Poll (Radio)

Readers Opinion