আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যকারণ
আবহাওয়া এবং জলবায়ু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সে হিসেবেই এর সঠিক যৌক্তিক ব্যাখ্যাটা আমাদের প্রত্যেকের জানা থাকা একান্ত জরুরীও বটে। এই আবহাওয়া কখনও বা নির্মল আরামদায়ক নরম, কখনও বা ভয়ঙ্কর হয়ে আমাদের জীবনযাত্রায় তীব্র আঘাত হেনে তছনছ করে দিয়ে যায় জনপদ, গ্রাম, শহর। প্রত্যেক ঘটনার নেপথ্যে অবশ্যই বিরাজমান থাকে কোন না কোন কারণ। হয়ত খুঁজে পেতে বয়ে যায় কিছুটা সময়। আবহাওয়ার এই বহুরূপিতার কারণ আজ আর অজানা কিছু নয়। কেন গরম লাগে? কেন শীত পড়ে? কেন বৃষ্টি হয়? কেন ঝড়? এসব প্রত্যেকটির আছে এক একটি যৌক্তিক ব্যাখ্যা, যোগ্য কার্যকারণ।
আবহাওয়া এবং জলবায়ুর সংজ্ঞাটা আমাদের বিষয়টি বুঝতে সহায়তা করবে আবহাওয়া হচ্ছে কোন স্থানের রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, মেঘ, কুয়াশা, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদির অল্পসময়ের অবস্থা, সেটা দৈনিক ও হতে পারে। আর জলবায়ু হচ্ছে কোন স্থানের ২০-৩০ বছরের আবাহাওয়ার গড় পরিমাপ।
নিয়ত পরিবর্তিত এই আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের নেপথ্য শক্তি হিসাবে কাজ করে বেশ কয়েকটি নিয়ামক, যেমন- সূর্যের তাপ, জলীয় বাষ্প, বায়ুচাপ ইত্যাদি। এই নিয়ামকসমূহের পরিবর্তনের, স্থানান্তরের কিংবা কম বেশি হওয়ার উপরই মূলত নির্ভর করে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। এই নিয়ামকসমূহের আচরণ শীতকালে একরকম আর গ্রীস্মকালে থাকে আরেক রকম।
আর এই নিয়ামকসমূহের সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হচ্ছে- বায়ুমণ্ডল। পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে এই বায়ুমণ্ডল। এ বায়ুমণ্ডল কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্পসহ অন্যান্য গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত। এই বায়ুমণ্ডল ভেদ করেই সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আসতে হয়। কিন্তু যে পরিমাণ তাপ পৃথিবীতে আসে ফিরে যাওয়ার সময় সেই পরিমাণ তাপ ফিরে যেতে পারে না। এই কারণেই রাতের বেলায় সূর্যের তাপ না থাকলেও পৃথিবী ঠাণ্ডা হয়ে যায় না। দুটি কাঁচের গ্লাস, একটি পলিথিন ব্যাগ এবং কয়েক টুকরা বরফের সাহায্যে ইচ্ছে করলেই আমরা পরীক্ষা করে এর সত্যাসত্য যাচাই করতে পারি। পানিভর্তি দুটি কাঁচের গ্লাসে বরফের টুকরো রেখে একটি গ্লাসকে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখলে দেখতে পাবো পলিথিনে মোড়ানো গ্লাসটির বরফ বাইরে রাখা গ্লাসটির চেয়ে দ্রুত গলে যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, পলিথিনের ভিতরে তাপ সহজেই ঢুকতে পারলেও বের হওয়ার মুহুর্তে তা পারে না। এই প্রক্রিয়াটিকেই কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় গ্রিনহাউজ, যে ঘরটি কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা হয়। সাধারণত ফলন আসতে বেশি সময় আলো এবং তাপ লাগে এমন গাছ কিংবা শীত প্রধান যে সমস্ত দেশে সূর্য অল্প সময় থাকে সে সমস্ত দেশে এই পদ্ধতিতে তাপ ধরে রেখে বিভিন্ন প্রকারের ফসল চাষ করা হয়। আর এই বিষয়টি যেমন খুবই প্রয়োজনীয় তেমনি এর একটি ক্ষতিকারক দিক ও বিদ্যমান।
বায়ুমণ্ডলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রচুর পরিমাণে সূর্যের তাপ ধরে রাখে এছাড়াও কলকারখানা, যানবাহন, ইটের ভাটা, জ্বালানী পোড়ানো, বন উজাড় ইত্যাদি কারণেও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ পৃথিবীতে বেড়েই চলছে। যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশঃ বেড়ে যাচ্ছে এবং এই বর্ধিত তাপমাত্রার কুফল হিসাবে মেরু অঞ্চলের ও পর্বত চূড়ার বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাবে এবং বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোছচ্ছ্বাস ইত্যাদির পরিমাণও বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যেই জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সারা পৃথিবীতেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
এই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপ বোধ, ঠাণ্ডা বোধ ইত্যাদি ঐ নিয়ামক শক্তিগুলো দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ভয়। যেমন- আমরা দেখতে পাই সকালে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কম থাকে আবার দুপুর বলায় বেশি থাকে। এর কারণ হচ্ছে সকাল বেলায় সূর্যকিরণ তীর্যকভাবে পড়ে, আর চীর্যকভাবে সূর্যকিরণকে আসতে বায়ুমণ্ডলের অনেক স্তর ভেদ করে আসতে হয়, এতে সূর্যের তাপ
লগইন করুন? লগইন করুন
03 Comments
Karla Gleichauf
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
M Shyamalan
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
Liz Montano
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment