মেয়ে
সকালে একটি নিগ্রো খচ্চরটাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল বড় কুঠিতে। যাওয়ার পথে কর্নেল হেনরি ম্যাকস্ওয়েলকে ব্যাপারটা জানিয়ে এল। তারপর কর্নেল হেনরি ফোন করলেন শেরিফকে। শেরিফ ঝটপট জিমকে শহরে পাকড়াও করে আনলেন। তারপর তাকে গারদে আটকে বাড়ী চলে গেলেন শেরিফ এবং গিয়ে সকালের খানা খেতে বসলেন।
শার্টের বোতাম আঁটতে আঁটতে জিম শূন্য গারদখানার চারদিকে ঘুরে বেড়ালো কিছুক্ষণ। তারপর এসে বসল বিছানায়। জুতোর ফিতে বাঁধল বসে বসে। সবটা এমন তাড়াতাড়ি ঘটে গেল সেদিন সকালে যে এক গ্লাস জল খাওয়ারও সময় পায় নি জিম। উঠে সে দরোজার কাছে রাখা জলের বালতীটার কাছে গেল। কিন্তু শেরিফ ভুলে গেছে বালতীতে জল রাখতে।
ইতিমধ্যে জেলের প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হয়েছে কিছু লোক। জিম শুনতে পেল, তারা কি যেন বলাবলি করছে। জানলার কাছে গিয়ে জিম বাইরে তাকাল। ঠিক এই সময়ে একখানা মোটর এসে থামল—ছ’সাত জন লোক নামল গাড়ী থেকে ৷ আরও লোক আসছে। রাস্তার দু-দিক দিয়েই আসছে তারা গারদের দিকে।
‘সকালে আজ তোমার ওখানে কি হলো জিম?’ কে একজন জিজ্ঞেস করল।
গরাদের মাঝখানে মুখ রেখে জিম চেয়ে আছে লোকগুলির দিকে ওখানে সবাই তার চেনা ৷
ভাবছে সে মনে মনে, সে যে এখানে আছে তা শহরের সবাই জানল কি করে। এমন সময় আর একজন কে বলে উঠল: ‘নিশ্চয় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছিল জিম, না?'
রাস্তার দিকে গাড়ী হাঁকিয়ে চলেছে একটি নিগ্রো ছেলে—গাড়ী বোঝাই তুলো। গারদের সামনে গাড়ীটা এসে পড়লো যখন, ছেলেটা চাবুক কষিয়ে দিল খচ্চরগুলোকে। লাফিয়ে ছুটলো খচ্চরগুলো।
‘তোমার মতো লোকের ওপরেও সরকারের রাগ—অন্যায় কথা, ঘেন্নার কথা!’ কে একজন বলে উঠল।
শেরিফ আসছে রাস্তা দিয়ে, হাতে ঝুলছে একটা খাবারের টিফিন কেরিয়ারের মতো টিন। ভিড় ঠেলে শেরিফ এসে গারদের কপাট খুলল, টিনটা রাখল ভেতরে।
‘আমার স্ত্রী তোমার জন্যে খাবার পাঠিয়েছে জিম, কিছু খেয়ে নাও এখন তুমি।’
জিম তাকালো একবার খাবারের টিনের দিকে, তারপর শেরিফের দিকে—তারপর গারদের দরজা। শেষে মাথা নাড়ল ৷
‘আমার ক্ষিদে পাচ্ছে না।’ সে বললো। ‘কিন্তু মেয়েটার খিদে পেয়েছিল—বড্ড ক্ষিদে পেয়েছিল তার।’
দরোজা দিয়ে পেছিয়ে এল শেরিফ, হাত গিয়ে ঠেকলো পিস্তলের বাঁটে। এত দ্রুত পেছিয়ে এলো সে, হঠাৎ পেছনের লোকগুলির পা মাড়িয়ে দিল এসে।
‘শোনো, মন খারাপ কোরো না জিম।’ শেরিফ বললো। ‘বসো শান্ত হও।’
দরোজা বন্ধ করে দিল শেরিফ। তালা লাগাল। তারপর এগিয়ে গেল সে রাস্তার দিকে। কয়েক পা গিয়ে থামল, পিস্তল খুলে দেখল—টোটাগুলো ঠিক ভরা আছে কি-না।
জানালার সামনে ভিড় ক্রমশ ঘন হচ্ছে, কিছু লোক নাড়া দিতে লাগল গরাদে যতক্ষণ না জিম তাদের সামনে এসে দাঁড়াল ৷ জিম তাকাল তাদের দিকে। তেমনি দুই লোহার গরাদের মাঝখানে মুখ রেখে দাঁড়িয়ে রইল সে। দু-হাতে জড়িয়ে ধরেছে গরাদ।
‘কেমন করে ব্যাপারটা ঘটল, জিম?' কে একজন জিজ্ঞেস করল। ‘নিশ্চয় কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল—না?’
জিম চেয়ে আছে। তার লম্বাটে রোগা মুখটা যেন বেরিয়ে আসবে গরাদের ভেতর থেকে। সব ঠিক আছে কিনা দেখবার জন্যে শেরিফ এসে দাঁড়াল জানালার কাছে।
বললো, ‘শোন, মাথা ঠাণ্ডা রাখে। জিম।’
যে লোকটি জিমের কাছ থেকে ঘটনার ব্যাপারটা জানতে চাইছিল সে কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দিল শেরিফকে। ভিড় আরও ঘন হয়ে এল।
‘বলো জিম, কেমন করে হল?’ লোকটি জিজ্ঞেস করল, ‘কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছিল?’
‘না’, জিম বললো;। আঙুলগুলো তার পাক খাচ্ছে লোহার গরাদে। ‘বন্দুকটা নিলাম, তারপর গুলি করলাম।’
ভিড় ঠেলে শেরিফ আবার এগিয়ে এল জানালার দিকে ৷
‘বলো জিম। বলো আমাদের এ সব কি করে ঘটল?’
জিমের মুখটা গোটাটাই যেন বেরিয়ে এসেছে গরাদের ভেতর থেকে, দুটে৷ কান শুধু ঠেকে আছে লোহার
লগইন করুন? লগইন করুন
03 Comments
Karla Gleichauf
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
M Shyamalan
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
Liz Montano
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment