একবার হযরত নবী করিম (দ.) সাহাবাদের সঙ্গে কোনো দূরবর্তী স্থানে গিয়েছিলেন: সঙ্গে খাবার জিনিস কিছু ছিল না। কাজেই সাহাবারা কিছু খাবার রাঁধার জোগাড় করতে লাগলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে এক-একজন এক-এক কাজের ভার নিলেন। হযরত নিজে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করার ভার নিলেন। সাহাবিরা বিনীতিভাবে বললেন, "হযরত এ-কাজটি কি আমরা পারতাম না; আপনি কেন এর ভার নিলেন?” হযরত বললেন, “তোমরা পারতে ঠিকই, কিন্তু নিজে কোনো কাজ না করে আমি তোমাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে চাই না। যে নিজেকে আপনার সঙ্গীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে খোদা তাকে ভালোবাসেন না।”

[সাম্য]

একদিন হযরত কতকগুলি লুণ্ঠিত দ্রব্য বিতরণ করছিলেন খাচা লোকেরা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। একজন লোক হযরতের শরীরের উপর দিয়ে এমনভাবে দাঁড়িয়ে ছিল যে, তাঁর নড়াচড়ায় বিশেষ অসুবিধা হচ্ছিল। হযরতের কাছে একখানা ছড়ি ছিল, তিনি তার আগা দিয়ে লোকটাকে বসিয়ে দিলেন। কিন্তু আগা লেগে তার মুখে আঁচড় কেটে গেল। তখন হয়রত ছড়িটি ঐ লোকটির হাতে দিয়ে বললেন, “তুমি আমার উপর প্রতিশোধ গ্রেহণ করো।” লোকটি বলল, “হে আল্লাহ্র রসুল, আমি আমার দাবি ত্যাগ করছি। আমি আপনাকে মাফ করলাম।"

[সাম্য]

এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে হযরত মদিনার পথে যাচ্ছিলেন। বহু পথ অতিক্রম করে সকলেই এক প্রান্তরে বিশ্রামের জন্য উপবিষ্ট হলেন। প্রান্তরে অনেক গাছপালা ছিল। হযরত এক গাছের শাখায় নিজের তরবারি ঝুলিয়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করতে বসলেন। অন্যান্য সঙ্গীও দূরে দূরে গাছের ছায়ায় বসে পড়লেন। শরীর খুব ক্লান্ত হয়েছিল। কাজেই গাছের সুশীতল ছায়ায় বসতেই হযরত তন্দ্রাভিভূত হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ এক শব্দ শুনে জেগে চমকিত হয়ে দেখেন, এক দুর্দান্ত আরব তাঁর শিয়রে দাঁড়িয়ে। হযরতকে চোখ খুলতে দেখেই সে হযরতের তরবারিখানা গাছের ডাল থেকে পেড়ে নিল। তারপর বলল, "আজ কে তোমাকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করবে?” হযরত নির্ভীক অবিচলিতভাবে বললেন, "আল্লাহ্।” আরব একটু হেসে তরবারি আবার উঁচু করে বলল, "কে এখন তোমাকে আমার হাত থেকে বাঁচাবে?" হযরত পুনরায় অবিচলিতভাবে একই উত্তর দিলেন, "আল্লাহ্।” হযরতের ভাবভঙ্গি, তাঁর নির্ভীকতা ও খোদানির্ভরতা দেখে আরব থতমত খেয়ে গেল। তার হাত থেকে তরবারি খসে পড়ল। হযরত তখন তরবারি নিজ হাতে নিয়ে বললেন, "এখন তোমাকে কে রক্ষা করবে?" সে বলল, "হায়, আমাকে রক্ষা করার কেউই নাই।" হযরত তাকে কিছুই বললেন না। [মুসলিম]

8

একদিন হযরত সাহাবাগণের সঙ্গে বসে আছেন, এমন সময় অন্য একজন লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করল। হযরত বললেন, "ওকে ভিতরে নিয়ে এসো। যদিও লোকটি ভালো নয়।" লোকটি ভিতরে এল। হযরত তার সঙ্গে বিশেষ নম্রতার সঙ্গে আলাপ করলেন। লোকটি চলে গেলে হযরত আয়েশা জিজ্ঞাসা করলেন, "হযরত আপনিই বললেন যে লোকটি ভালো নয়, তবু আপনি তার সঙ্গে এরূপ সদয়ভাবে আলাপ করলেন কেন?" হযরত বললেন, "খোদাতালার চোখে সেই লোকই সবচেয়ে খারাপ যার ব্যবহারে লোকে তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।" [সুনীতি]

একদিন একজন লোক হযরতকে জিজ্ঞাসা করল, "হযরত, গোলামের অপরাধ কতবার মাফ করতে হবে?" হযরত কিছুই বললেন না। লোকটি আবার ঐ কথাই জিজ্ঞাসা করল। হযরত এবারও চুপ করে রইলেন। সে কিন্তু কিছুতেই ছ আবার জিজ্ঞাসা করল, "হযরত ক্রীতদাসের অপরাধ কতবার। হযরত এবার জবাব দিলেন, "দিনের মধ্যে সত্তর বার।" করতে হবে?" নীতি

ছোরাফ নামক সাহাবি একবার এক বেদুইনেন করেছিল; কিন্তু তার মূল্য দিতে পারেনি। কিট থেকে একটি উট ক্রয় বেদুইন হযরতের নিকট সাহাবিকে ধরে নিয়ে গেল এবং সমস্ত ঘটনা বর্ণনা কর্মনি করল হযরত সাহাবিকে উটের দাম পরিশোধ করতে বললেন। সে বলল, "আমার

লগইন করুন? লগইন করুন

বাকি অংশ পড়তে,

সাবস্ক্রাইব করুন

প্রারম্ভিক অফারটি


লেখাটি পড়তে
অথবা

সাবস্ক্রাইব করে থাকলে

লগইন করুন

You Might Also Like

03 Comments

Leave A Comment

Don’t worry ! Your email address will not be published. Required fields are marked (*).

Get Newsletter

Advertisement

Voting Poll (Checkbox)

Voting Poll (Radio)

Readers Opinion