বর্ণ-তত্ত্ব
প্রকৃতিতে আমরা বিবিধ বিচিত্র বর্ণের বিকাশ দেখিতে পাই। এ সম্বন্ধে গোটা কতক স্কুল কথা এই সন্দর্ভে আলোচ্য।
প্রথমেই প্রশ্ন উঠিতে পারে, বর্ণ কয় প্রকার? সাধারণতঃ বলা হইয়া থাকে, বর্ণ সাত প্রকার। এই উত্তরের একটা ভিত্তি আছে। রামধনুতে আমরা বিবিধ বর্ণের বিকাশ দেখিতে পাই। সূর্য্যের আলো একটা কাচের কলমের ভিতর দিয়া লইয়া গেলে নানা রঙ দেখা যায়। শাদা আলো ভাঙ্গিয়া তাহার মধ্য হইতে কিরূপে মৌলিক বর্ণগুলি বাহির করিতে হয়, তাহা নিউটন প্রথমে দেখাইয়াছিলেন। একটা চুলের মত সঙ্কীর্ণ অথচ দীর্ঘ ছিদ্রের ভিতর দিয়া সূর্য্যের আলোক লইয়া যাইতে হইবে। পরে সেই আলোক একখানা তিন-কোণা কাচের কলমের ভিতর চালাইলে একটা পাঁচ-রঙা আলো দেওয়ালের গায়ে পড়িবে। কেহ কেহ এইখানে বলিবেন, পাঁচ-রঙা নয়, সাত- রঙা; কেননা, এই আলোর ভিতরে রক্ত, অরুণ, পীত, হরিৎ, নীল ইন্ডিগো ও ভায়লেট,--এই সাত রঙের বিকাশ দেখা যাইবে। কিন্তু এইরূপ বিবরণে একটু দোষ আছে। প্রকৃত কথা, সেই আলোর মধ্যে আমরা নানা বর্ণের বিকাশ দেখি। বর্ণমালার এক পাশে থাকে লাল, অন্য পাশে থাকে ভায়লেট। কিন্তু এই দুইয়ের মাঝে কত নানাবিধ রঙ বর্তমান থাকে, তাহার সংখ্যা নাই। ভাষাতে অতগুলা শব্দ নাই ও নাম নাই, কাজেই আমরা পাঁচ রঙ, ছয় রঙ বা সাত রঙের নাম করি। বস্তুতঃ হরিৎ ও পীত, এই দুয়ের মাঝেই নানাবিধ বর্ণ তাকে। কোনটা পীতাভ হরিৎ, কোটা হরিদাভ পীত। এই সকল বর্ণে পার্থক্য আছে, অথচ সেই পার্থক্য বুঝাইবার জন্য ভাষার নাম নাই। কাজেই কুলায় না।
জই ভারায়েলোর মধ্যে পাঁচ রকম বা সাত রকম মাত্র বড় আছে বলিলে ভুল হয়। এত রঙ আছে যে, আমরা তাহাদের সকেলর নাম দিতে পারে না। পীতবর্ণ ক্রমশঃ অাস্তবর্তিত হইয়া হরিতে দাঁড়ায়, হরিৎ ক্রমশঃ নীলে দাঁড়ায়। কিন্তু এই পীত ও পরিষ্ঠের মাঝামাঝি কত রঙ আছে, এবং হরিৎ ও নীলের মাঝামাঝি আবার কত রঙ আছে, তাহা বলাই যায় না। ভাষা এখানে পরাস্ত আমরা এই অসংখ্যেয় বর্ণগুলাকে মোটামুটি সাতটা শ্রেণীতে ভাগ করি। কতকগুলাকে বলি রক্ত, তাহারা রক্তশ্রেণীভুক্ত: কতকগুলা পীত বা পীতশ্রেণীভুক্ত; ইত্যাদি।
কাজেই সূর্য্যের শুভ্র আলোক বিশ্লেষণ করিলে অগণ্য বিবিধ বর্ণের আলোক পাওয়া যায়। এই বর্ণগুলিকে আমরা বিশুদ্ধ বর্ণ বলিব। বিশুদ্ধ বর্ণের অর্থ কি? সূর্য্যের আলো কাচের কলমের ভিতর দিয়া লইয়া গেলে যে সকল বর্ণ দেখা যায়, তাহাই বিশুদ্ধ বর্ণ। কোন একটা বিশুদ্ধ বর্ণের আলোকে ঐ রূপে বিশ্লেষণ করিয়া আর কোন বর্ণ পাওয়া যায় না।
রামধনুতে যে সকল আলো দেখা যায়, তাহারা এই বিশুদ্ধ বর্ণের আলো। প্রকৃতিদেবী এখানে নিউটন সাজিয়া জলকণাকে কাচের কলমে পরিণত করিয়া শুভ্র সূৰ্য্যালোককে বিবিধ বিশুদ্ধ বর্ণের আলোক দেখাইয়া থাকেন। কিন্তু চারি দিকে প্রকৃতির দ্রব্যে আমরা সাধারণতঃ যে সকল বর্ণ দেখিয়া থাকি, তাহা বিশুদ্ধ বর্ণ নহে। এই সংখ্যাতীত বিশুদ্ধ বর্ণ ব্যতীত আরও সংখ্যাতীত অবিশুদ্ধ বর্ণের অস্তিত্ব আমরা সর্ব্বত্র উপলব্ধি করি। প্রাকৃত দ্রব্যে যে পীত, যে হরিৎ, যে নীল দেখা যায়, তাহা প্রায়শই বিশুদ্ধ পীত, বিশুদ্ধ হরিৎ, বিশুদ্ধ নীল হয় না। কেননা, উহার প্রত্যেক রঙকে কাচের কলম দিয়া বিশ্লেষণ করিলে নানা রঙ পাওয়া যায়। পাটল ধূসর পিঙ্গল প্রভৃতি নানাবিধ বর্ণ সর্ব্বদা প্রত্যক্ষ করি, কিন্তু তাহা বিশুদ্ধ বর্ণ নহে। সূর্যালোকে বিশ্লেষণ করিলে এই সকল পাটল পিঙ্গলাদি রঙ পাওয়া যায় না। এই জন্য ইহাদিগকে অবিশুদ্ধ বলিতেছি। তবে বিশুদ্ধ বর্ণের আলো নানা ভাগে মিশাইয়া এই সকল অবিশুদ্ধ মিশ্র বর্ণের উৎপাদন করিতে পারা যায়।
কিন্তু এই পর্যন্ত বলিলে বর্ণতত্ত্বের শেষ কথা বলা হয় না। আরও ভিতরে যাইতে হইবে। আসল কথা, বর্ণমাত্রই-নীলই বল, আর পীতই বল,
লগইন করুন? লগইন করুন
03 Comments
Karla Gleichauf
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
M Shyamalan
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment
Liz Montano
12 May 2017 at 05:28 pm
On the other hand, we denounce with righteous indignation and dislike men who are so beguiled and demoralized by the charms of pleasure of the moment